যেভাবে বন্ধুকন্যাকে বিয়ে করেছিলেন জিন্নাহ

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাজনীতিক হিসেবে ছিলেন তুখোড়। আইনজীবী হিসেবে তাঁর তুলনা ছিলেন তিনি নিজেই। অখ- ভারতের সেরা আইনজীবী হিসেবে ভাবা হতো জিন্নাহকে। প্রেমিক হিসেবেও তিনি যে দুর্দান্ত তা সে সময়কার বোম্বাইয়ের সেরা সুন্দরী লেডি রতন বাঈ তথা লেডি রতির সঙ্গে জিন্নাহর প্রেম ও বিয়ে সে সাক্ষ্যই বহন করে। ভারতের সেরা ধনী স্যার দিনশাহর অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন জিন্নাহ। বন্ধুর কিশোরী কন্যার সঙ্গে দুই বছর লুকোচুরির প্রেম শেষে প্রেয়সীর ১৮ বছর পুরতেই তাঁকে বধূ হিসেবে ঘরে তোলেন। জিন্নাহর কাছ থেকে নিজের কিশোরী কন্যাকে দূরে রাখতে স্যার দিনশাহর চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। পারসি সম্প্রদায়ের কাছেও এ সম্প্রদায়ের মাথার মণি পেটিট পরিবারের সুন্দরী ও বিদুষী কন্যা তাঁর চেয়ে ২৪ বছরের বেশি বয়স্ক একজন মুসলমান রাজনীতিককে বিয়ে করবেন- এ ছিল মর্মবেদনার বিষয়। লেডি রতির প্রপিতামহ দিনশাহ মানেকজি পেটিট ছিলেন ভারতবর্ষের আধুনিক শিল্পের জনক। এ উপমহাদেশের প্রথম সুতাকলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর আরেক প্রপিতামহ টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রতনজি দাদাভাই টাটা। লেডি রতির দাদির মা সুজানে ব্রেরিয়ার প্রাচ্যের নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম গাড়ি ড্রাইভ করার কৃতিত্বের অধিকারী। যে যুগে ইউরোপেও এমন নারীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। লেডি রতি ১৮ বছরে পা দেন ১৯১৮ সালের ১৯ এপ্রিল। সেদিনই একটি ছাতা ও এক জোড়া পোশাক নিয়ে তিনি বাবার বাড়ি ছাড়েন। ওঠেন প্রেমিক জিন্নাহর কাছে। পরদিন সকালে নাশতার টেবিলে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতে গিয়ে হোঁচট খান স্যার দিনশাহ পেটিট। ‘বম্বে ক্রানিক্যাল’ পত্রিকার আটের পাতায় ছাপা হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সভাপতি জিন্নাহ ও লেডি রতির বিয়ের খবর। স্যার দিনশাহর কাছে ভূমিকম্পের সূচনা করে খবরটি। পত্রিকাটি তাঁর হাত থেকে পড়ে যায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জীবনীকারদের একজন অধ্যাপক শরিফ আল মুজাহিদ লিখেছেন, ‘জামিয়া মসজিদে নিয়ে লেডি রতিকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা।’

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ধর্মকে লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ভারতবর্ষের মুসলমানদের ন্যায্য হিসসা আদায়। তাঁর কাছে প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল মানুষ, ধর্ম নয়। তিনি নিজে ধর্মাচার নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। তাঁর প্রেমিকা লেডি রতিও লালিত-পালিত হয়েছেন এমন এক ঘরে, যেখানে ধর্মের আলাদা কোনো প্রাসঙ্গিকতা ছিল না। কিন্তু কৌশলগত কারণে জিন্নাহ সিভিল ম্যারেজের বদলে ইসলামী রীতিতে লেডি রতিকে বিয়ে করেন। মিস রতি ও মিস্টার জিন্নাহকে নিয়ে লেখা তথ্যবহুল একটি বইয়ের লেখক খাজা রাজি হায়দার লিখেছেন, জিন্নাহ তখন ইমপেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদি তিনি সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী বিয়ে করতেন, তাহলে সম্ভবত তাঁকে কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করতে হতো। সেজন্যই জিন্নাহ ইসলামী মতে বিয়ে করেন আর রতিও এতে রাজি হন। নিকাহনামায় ১০০১ টাকা মোহরের উল্লেখ থাকলেও জিন্নাহ রতিকে উপহার দেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সে সময়ের হিসাবে তা বিশাল অঙ্কের অর্থ। ২৪ বছরের ছোট একটি মেয়ের সঙ্গে জিন্নাহর বিয়ে সে সময় ভারতীয় সমাজের এক নম্বর কেচ্ছায় পরিণত হয়। আলোচিত ওই বিয়ের ঘটনা সামাজিক জীবনে ব্যাপক আলোড়নও ফেলেছিল। জিন্নাহ বিয়েতে লেডি রতিকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা উপহার দিয়ে তখনকার দিনে চমক সৃষ্টি করেছিলেন। সে সময় প্রতি ভরি রুপার দাম ছিল এক টাকা। সে হিসাবে ওই সময়ের ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বর্তমান মূল্য ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মতো। ভারতবর্ষের সাধারণ মুসলমানরা সম্ভবত ওই বিয়েকে দেখেছিল তাদের নেতার কৃতিত্ব হিসেবে। পারসিকদের কাছে জিন্নাহ ও রতির বিয়ে ছিল অপমান ও হতাশার। তবে স্বীকার করতেই হবে, ভারতবর্ষের মুসলিম রাজনীতির দিকপাল জিন্নাহর সঙ্গে পারসিক সম্প্রদায়ের গর্বের অংশ পেটিট পরিবারের মেয়ে মিস রতির প্রেম ও বিয়ের সঙ্গে ধর্ম বা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক ছিল না। অসম বয়সের প্রেম ও বিয়ের এ ঘটনার পুরোটাই ছিল মানবিক। রতি জিন্নাহকে গভীরভাবে ভালোবেসে ছিলেন। জিন্নাহর ক্ষেত্রেও সেটি একইভাবে সত্যি।  মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও লেডি রতন বাঈর বিয়ে কতটা চমক সৃষ্টি করেছিল তা উঠে এসেছে বিশিষ্টজনদের লেখায়। ভারতীয় রাজনীতির আরেক দিকপাল জওহরলাল নেহরুর বোন, বিজয়লক্ষ্মী পন্ডিত তাঁর আত্মকথা, ‘দ্য স্কোপ অব হ্যাপিনেস’ বইতে লিখেছেন, ‘পারসি সম্প্রদায়ের সেরা ধনী স্যার দিনশাহর মেয়ের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বিয়ের ঘটনায় গোটা দেশ আন্দোলিত হয়েছিল।’ বিজয়লক্ষ্মী পন্ডিতের ভাষ্য, ‘আমি আর রতি প্রায় একই বয়সী। কিন্তু আমাদের দুজনের বড় হয়ে ওঠা ভিন্ন ঘরানায়। জিন্নাহ তখনকার নামি উকিল আর উঠতি নেতা। এসব হয়তো রতির ভালো লেগেছিল। সম্ভবত সেজন্যই পারসি সম্প্রদায় আর নিজের বাবার প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও জিন্নাহকে তিনি বিয়ে করেন।’

জিন্নাহর ঘনিষ্ঠজনদের অন্যতম সরোজিনী নাইডু। লেডি রতির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও একজন তিনি। সরোজিনী নাইডু কংগ্রেসের প্রথম মহিলা সভাপতি হওয়ার কৃতিত্ব দেখান। ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম কাতারে। স্বাধীনতার জন্য কারাবরণও করেছেন। কোকিলকণ্ঠী নাইডু জিন্নাহকে নিয়ে একবার কবিতাও লিখেছিলেন। ১৯১৬ সালে কংগ্রেস অধিবেশন চলার সময় জিন্নাহর অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবে বিমুগ্ধ হয়ে সরোজিনী নাইডু কবিতা লেখেন। ড. সৈয়দ মাহমুদকে পাঠানো একটি চিঠিতে জিন্নাহর বিয়ে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরোজিনী নাইডু লিখেন, ‘শেষ পর্যন্ত জিন্নাহ নিজের বাসনার নীল গোলাপটা তাহলে তুলেই নিল। আমার মতে মেয়েটি যে কত বড় আত্মত্যাগ করেছে, তা বোধ হয় সে কল্পনাও করতে পারছে না। কিন্তু জিন্নাহর এটা কৃতিত্ব, সে রতিকে খুবই ভালোবাসে। আত্মকেন্দ্রিক আর চাপা স্বভাবের জিন্নাহর এটা একটা মানবিক চেহারা।’

 

জিন্নাহ ও সরোজিনী নাইডুর সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু কিছু গসিপ চালু থাকলেও তার বাস্তবতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ নাইডু ছিলেন লেডি রতির ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বে কখনই চিড় ধরেনি।

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জীবনীকারদের কেউ কেউ চমক সৃষ্টির জন্য তাঁর সঙ্গে সরোজিনী নাইডুর প্রেমের বিষয়ে ইনিয়েবিনিয়ে বলার চেষ্টা করলেও তাঁদের স্ববিরোধিতাও চোখে পড়ার মতো। আজিজ বেগ তাঁদেরই একজন। তিনি তাঁর বইতে লেডি রতন বাঈ ও সরোজিনী নাইডু দুজনের সঙ্গে জিন্নাহর প্রেম নিয়ে ‘টু উইনসাম উইমেন’ নামে একটি আলাদা পরিচ্ছেদের অবতারণা ঘটিয়েছেন। আজিজ বেগ একটি ফরাসি প্রবাদ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘একজন পুরুষের জন্যই দুই নারী একে অন্যকে অপছন্দ করতে শুরু করে। কিন্তু সরোজিনীর মনে রতির প্রতি কোনো ঈর্ষা দেখা যেত না। বাস্তব এটাই যে, জিন্নাহ আর রতির বিয়েতে তিনি সাহায্যও করেছিলেন।’ বিয়ের পর জিন্নাহ ও রতি দম্পতি মধুচন্দ্রিমা করতে মেহমুদাবাদের রাজার লখনৌ প্রাসাদে গিয়েছিলেন। খাজা রাজি হায়দারের বর্ণনায় বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি লিখেছেন, ‘মেহমুদাবাদের রাজা আমির আহমদ খায়ের বয়স তখন সাড়ে চার বছরের মতো, যখন জিন্নাহ আর রতি লখনৌতে খাঁ সাহেবের বাবার প্রাসাদে মধুচন্দ্রিমা করতে যান। রতির পরনে ছিল সাদা শাড়ি, তাতে সোনালি আর কালো রঙের পাড়। তাঁকে ঠিক পরীর মতো লাগছিল। রাজা আমির খাঁ এর চার বছর পর রতিকে দেখেন ১৯২৩ সালে, জিন্নাহ আর রতি সে সময়ে দিল্লির মেন্ডেস হোটেলে ছিলেন। খেলনা কেনার জন্য আমির খাঁকে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা।’ বয়সের পার্থক্য থাকলেও বোম্বাই, দিল্লিসহ ভারতের উচ্চ মহলে জিন্নাহ-রতি দম্পতিকে দেখা হতো ঈর্ষার চোখে। তাঁদের উচ্ছল আর খুশিতে ভরপুর চেহারা দেখেই লোকে ভাবত এদের একজনকে অন্যজনের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। লেডি রতন বাঈ ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন কাঞ্জি দ্বারকা দাস। বোম্বাইয়ের সুপরিচিত লেখকদের মধ্যে দ্বারকা দাসের স্থান ছিল সামনের তালিকায়। সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও তিনি ছিলেন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। মহাত্মা গান্ধী ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দুজনের বাসভবনে তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। দ্বারকা দাস লেডি রতির শেষ দিনগুলোয় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন। তিনি তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘রতির দিক থেকে চোখ ফেরানো যেত না। যতক্ষণ না আমার নজর দেওয়াটা তিনি ধরে ফেলতেন ততক্ষণ সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতাম।’ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও লেডি রতন বাঈয়ের দাম্পত্য জীবন শুরু হয়েছিল দারুণভাবে। বিয়ের ১৬ মাসের মাথায় ১৯১৮ সালের ১৪-১৫ আগস্ট রাতে লন্ডনের এক হাসপাতালে রতি কন্যাসন্তানের মা হন। ১৪ আগস্ট রাতটি জিন্নাহর জীবনে বাবা হওয়ার মোক্ষম দিনই বটে। ১৯১৯ সালের ১৪ আগস্ট রাতে তিনি সন্তানের বাবা হন। আর এর ঠিক ২৮ বছর পর তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপিতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তবে ইতিহাসের এই মহানায়কের জীবনের প্রতিটি অর্জনের অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে ট্র্যাজেডির অপ্রত্যাশিত ছায়া। অসামান্য মেধাবী ও প্রতিভাধর জিন্নাহ এনট্রান্স পাস করে ১৫ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে যান। মায়ের ইচ্ছায় সে বয়সেই এমিবাই নামে ১৪ বছর বয়সী দূর সম্পর্কীয় চাচাতো বোনের সঙ্গে জিন্নাহ বিয়েতে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাঁর মা পুত্রের ব্যারিস্টার হওয়া দেখে যেতে পারেননি। লন্ডনে থাকা অবস্থায় জিন্নাহ একে একে মা ও স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান। বোম্বাইয়ের সেরা ধনীকন্যা এবং সেরা সুন্দরী রতন বাঈকে তিনি বিয়ে করেন চমক লাগিয়ে। বিয়ের ১৬ মাস পর তিনি কন্যাসন্তানের বাবা হন। কিন্তু জিন্নাহ তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারান ১৯২৯ সালে বিয়ের মাত্র ১০ বছর ১০ মাস পর। স্বামীর সঙ্গে লেডি রতন বাঈয়ের মানসিক দূরত্ব গড়ে উঠেছিল নানা কারণে। স্ত্রী রতির মৃত্যুর পর মেয়ে দিনাই ছিল জিন্নাহর ব্যক্তিজীবনের একমাত্র ভরসার স্থল। কিন্তু দিনাও তাঁর বাবাকে ছেড়ে যান এক পারসি যুবকের প্রেমের টানে ১৯৩৮ সালে। স্ত্রীকে হারানোর নয় বছর পর হারান একমাত্র কন্যাকে। জিন্নাহ-কন্যা প্রেমের টানে বাবাকে ছাড়লেও তাঁর দাম্পত্য জীবনও সুখের হয়নি। মাত্র পাঁচ বছর পর তাঁদের প্রেমের সংসারে ভাঙন ধরে। বাবা-মায়ের মতোই জেদি ছিলেন দিনা। প্রেমের বিয়ে ভেঙে গেলেও তিনি বাবার কাছে ফিরে যাননি। বাবার জীবিত অবস্থায় দুজনের মধ্যে কখনো মুখ দেখাদেখি হয়নি। তবে চিঠি চালাচালি হয়েছে। সে চিঠির সম্বোধনের দিকে তাকালে দেখা যাবে দিনা যেন জিন্নাহর কন্যা নন, দূরের কেউ। জিন্নাহ ছোট বোন ডেন্টাল সার্জন ফাতিমা জিন্নাহ ছিলেন নিঃসন্দেহে সুন্দরী। তিনি ছিলেন অবিবাহিত। পাকিস্তান ছিল জিন্নাহর কাছে আপন সন্তানের মতো। এ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়েছেন। কন্যাকে হারানোর পেছনেও পাকিস্তান কানেকশন কাজ করেছে।

ভিন্নধর্মী যুবকের সঙ্গে একমাত্র মেয়ে দিনার বিয়েতে জিন্নাহ আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক কারণে। উপমহাদেশের মুসলমানদের অনুভূতির কথা মনে রেখেই তিনি সে বিয়েতে বাদ সাধেন। কিন্তু জিন্নাহর পাকিস্তান নামের স্বপ্নের রাষ্ট্রটি শেষ পর্যন্ত শিব গড়তে গিয়ে বানর গড়ার ভ্রান্তিতে পরিণত হয় লোভী রাজনীতিক ও আমলাদের লালসার কারণে। জিন্নাহর নিজের জন্যও তা সুখকর ছিল না।

 

সুমন পালিত

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ