বাংলাদেশ কি ভারতের কোনও প্রদেশ?

লিখেছেন আনিস আলমগীর

অনুরোধ করার পরও ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস গত ৪ মাস ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না- ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা হিন্দার একটি প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক আনিস আলমগীর।

ইরাক যুদ্ধখ্যাত এই সাংবাদিক ওই প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে তার নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টসে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

শ্যামল দত্ত তার ভোরের কাগজে কি লিখেছে দেখিনি। তবে তার লেখাকে উদ্ধৃত করে দ্যা হিন্দু পত্রিকা গতকাল ২৫ জুলাই যা লিখেছে তাতেতো মনে হচ্ছে বাংলাদেশ ভারতের কোনও প্রদেশ।

হিন্দু তার ওয়েব ভার্সনে হেডলাইন করেছে: Indian envoy failed to meet Hasina despite requests: Dhaka daily. মানে দাঁড়াচ্ছে: ‘অনুরোধ সত্ত্বেও ভারতের রাষ্ট্রদূত হাসিনার সাথে দেখা করতে ব্যর্থ”

লিংকে ক্লিক করলে দেখবেন হেডলাইন করেছে: Sheikh Hasina failed to meet Indian envoy despite requests: Dhaka daily মানে, “শেখ হাসিনা অনুরোধ সত্ত্বেও ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করতে ব্যর্থ হয়েছেন”

অডাসিটির এখানে শেষ নয়। রিপোর্টের মূল বিষয়, বাংলাদেশ ভারতের কথা শুনছে না। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সমস্ত ভারতীয় প্রকল্পগুলি ধীর হয়ে গেছে। চার মাস ধরে চেষ্টা করে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। বাংলাদেশে ভারতের কোন প্রকল্প বন্ধ আছে, জানি না। সেটা নিয়ে বিস্তারিত নেই।

দ্যা হিন্দু ভোরের কাগজকে উদ্ধৃত করে আরও লিখেছে: [“ভারতের উদ্বেগ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সিলেটে বিমানবন্দর টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি একটি চীনা সংস্থাকে দিয়েছে। ভারতের হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য চার মাস চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তা পাননি। পাকিস্তান ও চীনের প্রতি ঢাকার সাম্প্রতিক ঝোকের বিষয়ে একটি নিবন্ধে সংবাদপত্রের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, কোভিড -১৯ মহামারীর জন্য ভারতের সহায়তার জবাবে বাংলাদেশ এমনকি ভারতকে প্রশংসা করে একটি চিঠিও পাঠায়নি।]

শ্যামল দত্তের বক্তব্য থেকে তাহলে আমাদের বুঝতে হবে, বাংলাদেশ তার একটি বিমানবন্দর টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি কার সঙ্গে করবে সেটা দিল্লিকে জানাতে হবে!

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এতো সহজ যে, রিভা গাঙ্গুলি চাইলেই করোনার মধ্যে কাজ ফেলে প্রধানমন্ত্রী তাকে সাক্ষাৎকার দিতে হবে!

ভারত থেকে তিনখানা মাস্ক এবং চারখানা সুরক্ষা সামগ্রী আর কিছু ওষুধ পেয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচার দিয়ে সয়লাব করে ফেলার পরও, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ধন্যবাদ দেওয়ার পরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বাকী রয়ে গেছে! লিখিত প্রশংসাপত্র দিতে হবে!! বাহ!

শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে তার সব প্রসংসাপত্র বাংলাদেশ দাবি করলেতো রাখার জন্য সেগুন বাগিচা ভবনের পুরো একটি কক্ষের দরকার পড়তো। তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি এসমস্ত দালালী কথা বার্তার। দালালী একটু চক্ষু লজ্জা নিয়ে করা ভালো। পাবলিক এখন সব বুঝে।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ