চীনের টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মানতে হবে

 

রোগ বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) গাইডলাইন অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য চীনের টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

গতকাল রাতে এসব কথা বলেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে সুক্ষ্মভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর এ টিকা প্রয়োগ করতে হবে। যাদের ওপর প্রয়োগ করা হবে তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়।

তবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) প্রতি আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে।

তারা দায়িত্ব নিলে বাংলাদেশে এ টিকা সফলভাবে প্রয়োগ হবে। এ প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের। কলেরা ও ডাইরিয়া নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সফল হবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশে এর প্রতিষ্ঠাকালীন আমিও একজন সদস্য ছিলাম। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, শুধু এই টিকার ক্ষেত্রেই নয়, করোনা চিকিৎসায় আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

তবে চীনা টিকা সফল হলে টিকা পাওয়ার তালিকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। আমরা চাই, চীনের এই টিকা সফল হোক। এতে বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক এগিয়ে আছে। তাদের ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল দু-এক দিনের মধ্যে হবে। এটাও ভালো দিক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার হলে বিশ্ববাসী দ্রুত এর সুফল পাবে। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে অনেকেই। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনাকালীন টেস্ট জালিয়াতির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। বিদেশে এখন যে কেউ গেলেই নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন

এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে মানুষের জীবন-মরণের বিষয় নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে। বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী বলেন, আরও সাত-আটটি দেশ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পেতে আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। ডেক্সামেথাসন ভ্যাকসিন ইংল্যান্ডে ৪২ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। এতেও ভালো ফল পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিল, ভারত, জাপানও করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এগুলোই এখন করোনার জন্য অ্যাডভান্স চিকিৎসা। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব মানতে দুই মিটার অর্থাৎ ছয় ফুট দূরত্ব সবাইকে মানতে হবে। ভারত, বাংলাদেশ পাকিস্তান এটাকে তিন ফুট হিসেবে ব্যবহার করছে। আমার মতে, সামাজিক দূরত্ব অন্তত ছয় ফুট হওয়া উচিত। এতে কেউ হাঁচি-কাশি দিলেও কোনো সমস্যা হবে না। বিশিষ্ট এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী ছয় মাস সবাইকে অবশ্যই বাধ্যতামূলক ভালো মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে দুটি মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি বলে আমি মনে করি। চোখ দিয়ে করোনা প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য এক ধরনের চশমা বেরিয়েছে, তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া হাত ও পায়ে মোজা হিসেবে ব্যবহারের জন্য সস্তায় পাতলা সিল্কের মতো কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ