লিখেছেন রিয়েল্টর শিহাব উদ্দিন
ইন্সুরড মর্টগেজ নিয়ে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নতুন করে আরোপিত হচ্ছে কয়েকটি কঠোর শর্ত । ২০ শতাংশের নিচে ডাউনপেমেন্টে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ইন্সুরড মর্টগেজের নতুন এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে আগামী পহেলা জুলাই থেকে । তবে নূন্যতম ডাউনপেমেন্ট ৫% এর বিধান অব্যাহত থাকছে, যদিও কিছুদিন আগে এই ডাউনপেমেন্ট ১০% এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং কর্পোরেশন (সিএমএইচসি) । মর্টগেজের যোগ্যতা অর্জনে কঠোর শর্ত আরোপের ফলে প্রথমবারের ক্রেতাদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে । একইভাবে মাল্টিপ্লেক্স প্রপার্টি মালিকদের পুনরায় ফিনান্সিং করে নতুন করে বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়বে ।
নতুন রেগুলেশন অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী বা অন্য কেউ মিলে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কমপক্ষে একজন আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর ন্যূনতম ৬৮০ হতে হবে আগে যা ছিল ৬০০। সিএমএইচসি আরও বলেছে, “মর্টগেজ অনুমোদনে জন্য প্রয়োজনীয় ডাউনপেমেন্টের অপ্রচলিত উৎসগুলিকে ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে ইক্যুইটি হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না”। অন্য কথায়, ক্রেতারা ডাউনপেমেন্টের জন্য কোন প্রকার ক্রেডিট নিতে পারবেন না। এদিকে সিএমএইচসি মাল্টি-ইউনিট ইন্সিউরড মর্টগেজের জন্য পুনরায় ফিনান্সিং স্থগিত করে দিচ্ছে, যদি না উত্তোলিত অর্থ আবাসন মেরামত বা পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফলে মাল্টিপ্লেক্স প্রপার্টি মালিকদেরকে পুনরায় ফিনান্সিং করে বাড়ি কিনতে গেলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য আরো যে শর্ত আরোপ হচ্ছে তার মধ্যে আছে, আয় ও ব্যয়ের তুলনা সম্পর্কিত দুটি অনুপাত GDS ও TDS আরো কঠোর করা হয়েছে এর ফলে সম্ভাব্য ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা কমবে। ফলে বর্তমানে ক্রেতা যে এমাউন্টের বাড়ি কিনতে পারছেন ১ জুলাইয়ের পর তার চেয়ে কম টাকার বাড়ি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে ।
এ ব্যাপারে সিএমএইচসি প্রেসিডেন্ট ও সিইও ইভান সিডাল বলেন, “কোভিড -১৯ আমাদের আর্থিক বাজারে দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা প্রকাশ করেছে এবং কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত রক্ষার জন্য আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে” । তিনি বলেন “এই পদক্ষেপগুলি বাড়ির ক্রেতাদের সুরক্ষা দেবে, সরকার ও করদাতাদের ঝুঁকি হ্রাস করবে, অতিরিক্ত চাহিদা এবং অস্থিতিশীল বাড়ির দাম বৃদ্ধিকে কমিয়ে আবাসন বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে” ।
সিএমএইচসি আশংকা করছে যে আগামী এক বছরে কানাডার অনেক জায়গায় বাড়ির দাম ৯ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে হ্রাস পেতে পারে, যদিও তা কানাডার সর্বত্র একই হারে হবে না । মন্ট্রিয়েলসহ কানাডার যেসব জায়গায় ক্রেতার সংখ্যা বিক্রেতাদের চেয়ে অনেক বেশী, সেসব জায়গায় বাড়ির দামে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না ।
লেখক : প্রকৌশলী শিহাব উদ্দিন,
রিয়েল এস্টেট ব্রোকার , (৫১৪) ৩৬৮ ৯০০০