নিউইয়র্কে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি

মোজেজা আশরাফ মোনালিসা। বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। কিন্তু বিয়ের পর মিডিয়াকে ছেড়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই আমেরিকায় বসবাস করছেন তিনি। মাঝে মধ্যে দেশে এসে শখের বসে অভিনয় করেন দুয়েকটি নাটকে। চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’র রানওয়েতে হেঁটেছেন মোনালিসা।মুঠোফোনে সেই অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে…

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ…

দেশের প্রতি আমি সব সময়ই টান অনুভব করি। তাই কাজে-কর্মে চেষ্টা করি দেশকে কীভাবে বিদেশের মাটিতে উপস্থাপন করা যায়। সেই সুযোগ আবারও এসেছিল। চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’র রানওয়েতে হেঁটে বাংলাদেশকেই তুলে ধরেছি। আমি বাংলাদেশী, এটাই আমার অনেক গর্বের, অনেক সুখের বিষয়। তাই ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারাটা আমার কাছে অনেক সৌভাগ্যের বলেই মনে হয়েছে।

মনে-প্রাণে বাঙালি…

আমার নিজের আচার আচরণে, কথাবার্তা এবং পোশাকে আশাকে সবসময়ই বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। এর আগেও নিউইয়র্কে একটা ঝলমলে ফ্যাশন শোতে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে বিশ্বের বড় বড় তারকারা পরফর্ম করেছেন। একমাত্র আমিই শাড়ি পরে সেখানে ক্যাটওয়াক করেছি।

আমার মায়ের ডিজাইন করা শাড়ি পরে আমি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে, বাংলাদেশের পোশাককে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারার মধ্যে নিজের ভেতর যে কতটা ভালোলাগা কাজ করে এটা আসলে ভাষায় প্রকাশের নয়।

দূরে থাকা মানে ভুলে থাকা নয়…

আমি দীর্ঘদিন ধরেই শখের মিডিয়া জগত থেকে দূরে সরে আছি। কিন্তু দূরে থাকলেও আমার মন পড়ে থাকে মিডিয়ায়। অনেক বেশি মিস করি, আমার প্রিয় শোবিজ অঙ্গনটাকে। এ কারণে যখনই দেশে যাই, তখনই অভিনয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। যদিও আমি যাওয়ার পর অনেক নির্মাতাই অনুরোধ করেন অভিনয়ের জন্য। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে সব নাটকে অভিনয় করা হয় না।

সর্বশেষ অভিনয়…

গত বছর শেষবার বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। তখন মাত্র তিনটি নাটকে কাজ করেছি। নাটকগুলো হলো সুমন আনোয়ারের ‘যখন সবকিছু থেমে যায়’, সঞ্জয়ের ‘এক যে ছিল মা’ এবং শরীফুলের ‘লুকিয়ে ভালোবাসব তারে’। সবগুলো নাটকেই মূল চরিত্রে অভিনয় করেছি। দর্শকের প্রশংসাও পেয়েছি।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ